কমলা নদীতে শীতকালেও জলের বেশ টান থাকে। চওড়া নয়, কিন্তু স্রোত আছে। কমলা যেখানে হিমালয়ের বুক থেকে সমতলে নেমেছে সে জায়গা খুব দূর তো নয়, কাজেই তার চলার মধ্যে অফিসযাত্রীর ব্যস্ততা রয়েই গেছে এই ভানপুরার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময়ে। কিন্তু, সে-স্রোত এতটাও ভয়ানক নয় যে, একটা আস্ত কিশোরী মেয়েকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে যাবে।
অথচ আর তো কোনোই ব্যাখ্যা হয় না এর! সখারাম দুসাদ অনেক খুঁজেছে, অনেক দৌড়ঝাঁপ করেছে। খেত থেকে ফিরে যখন শুনল মেয়ে তখনও ঘরে ফেরেনি, ভয়ে হাত-পা জমে গেছিল তার। বারো পুরেছে রুক্মিণীর সদ্য, পাতলা শরীর ডাগর হচ্ছে সবে, মুখটিও বড়ো চোখে কালোর মধ্যে মিষ্টি বেশ। তক্ষুনি লোক ডেকে বেরিয়ে পড়েছিল সখারাম। ওর সঙ্গে সঙ্গে ঘুরেছে মতি, কালোয়া, হরুলি-মানে পাড়াপড়শিরাও। অন্ধকার হয়ে আসছিল বলে মশাল জ্বেলে জোড়াবটের মোড় অবধিও ঘুরে এসেছে সবাই।
কিন্তু রুক্মিণী নেই তো নেই-ই।