পবিত্র কুরআন মাজীদ জীবন্ত, চিরন্তন ও বিশ্বজনীন এক মহাগ্রন্থ। প্রত্যেক যুগের প্রতিটি মানুষের সকল সংকটের সঠিক সমাধান ও প্রতিটি অবস্থার নির্দেশনা রয়েছে এতে।
এটি এমন এক বিস্ময়কর গ্রন্থ মহান আল্লাহ তাআলা যা হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মু‘জিযা হিসেবে দান করেছিলেন। পূর্ববর্তী সমস্ত নবীকেই মু‘জিযা দেওয়া হয়েছিল। যেগুলোতে যুগের বিভিন্ন অবস্থা, প্রয়োজন, সমকালীন লোকদের চাহিদা, অনুরাগ, স্থান, কাল-পাত্র ও ভৌগলিক সীমারেখার প্রতি লক্ষ রাখা হয়েছিল। এ কারণেই এ যুগে পূর্ববর্তী সে সকল মু‘জিযা অস্তিত্বহীন হয়ে গেছে। পূর্ববর্তী আসমানী গ্রন্থগুলোও বিকৃতির শিকার হয়েছে। এ স্বীকারোক্তি খোদ ইহুদী-খ্রিষ্টান গবেষক লেখকরাই দিয়েছেন। কিন্তু হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমন এক মু‘জিযা দেওয়া হয়েছে যা চিরকালীন, চিরন্তন, সজীব আর জ্যোতির্ময়। যা আজও পর্যন্ত তেমনি নতুন, জীবনঘনিষ্ঠ এবং নেতৃত্বদানে সক্ষম- হেদায়াত ও সঠিক পথ নির্দেশনায় ভরপুর।
যা এখনো বৈশ্বিক সংকট ও জটিলতার সর্বোৎকৃষ্ট সমাধান পেশ করে যাচ্ছে। এটিই মানবজীবনের প্রকৃত দর্পণ ও সংস্কার।