প্রফেসর জর্জ এডওয়ার্ড চ্যালেঞ্জার, একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী, স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের লেখা দুটো ছোটো গল্প এবং তিনটি সাই-ফাই উপন্যাসের মূল চরিত্র। গল্পগুলো প্রকাশিত হয়েছিল দ্য স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিনে, পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশিত হয়। অবশ্য গুল্পগুলোকে অনেকে ফ্যান্টাসি, সাই-ফাই, অ্যাডভেঞ্চার ও থ্রিলার জনরাতেও ফেলে থাকেন।
কোনান ডয়েলের রাশভারী, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারী, যুক্তি দিয়ে পরিচালিত শার্লক হোমসের সঙ্গে প্রফেসর চ্যালেঞ্জারের রয়েছে আকাশ পাতাল পার্থক্য। এই ভদ্রলোকটি উগ্র, রগচটা এবং আচরণে অন্যকে দমন করার প্রবণতা বিদ্যমান।
তবে প্রফেসর চ্যালেঞ্জারের চরিত্রটিকে কোনান প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন দুজন মানুষের বৈশিষ্ট্যের নাটকীয় রূপান্তরের মাধ্যমে। এদের একজন হলেন কোনান ডয়েলের বন্ধু, পার্সি ফসেট। অন্যজন শরীরতত্ত্ববিদ্যার প্রফেসর উইলিয়াম রাদারফোর্ড।
জর্জ এডওয়ার্ড চ্যালেঞ্জার, এফআরএস, এমডি, ডিএসসি, জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৬৩ সালে লার্গস, অ্যায়ারশায়ার-এ। লেখাপড়া করেছেন প্রথমে লার্গস অ্যাকাডেমিতে, এরপর এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৮৯২ সালে দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়ামে চাকরি পান ড. চ্যালেঞ্জার। এক বছর পর পদোন্নতি পেয়ে হন তুলনামূলক নৃতত্ত্ববিভাগের সহকারী-রক্ষক। জীববিজ্ঞানের প্রফেসর ছিলেন তিনি, লন্ডনের জুয়োলজিক্যাল ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। তার অনেকগুলো আবিষ্কার পরবর্তীতে শিল্পক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়, যার থেকে বাড়তি আয় আসে তার।
১ম খণ্ডে থাকছে তাকে নিয়ে লেখা দুটো উপন্যাস:
১. দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড
২. দ্য পয়জন বেল্ট