জাপান থেকে কানাডায় পাড়ি জমানোর ঠিক আগের রাতে নৃশংসভাবে খুন হলেন দেশবরেণ্য লেখক কুনিহিকো হিদাকা। নিজ বাসগৃহে বন্ধ অফিসঘরে হিদাকার মৃতদেহ আবিষ্কার করে তার স্ত্রী এবং সবচেয়ে কাছের বন্ধু, যাদের দু’জনেরই আছে শক্তপোক্ত অ্যালিবাই।
খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে হিদাকার বন্ধু ওসামুকে চিনতে পারে ডিটেক্টিভ কিয়োচিরো কাগা। আগে একই স্কুলে শিক্ষকতা করতো দু’জনে। এক সময় ওসামু লেখালেখির জন্যে চাকরি ছেড়ে দেয় আর কাগা যোগ দেয় পুলিশে। অবশ্য বন্ধুর মত নাম করতে পারেনি ওসামু।
তদন্তে নেমে কাগা বুঝতে পারে, দুই লেখক বন্ধুর সম্পর্কে বাইরে থেকে যেমনটা মনে হতো, আদতে সেরকমটা ছিল না। তাদেরকে বন্ধু বলাটাও বোধহয় ঠিক হবে না। অন্যান্য কেসের মত ‘কে’ বা ‘কিভাবে’ নয়, বরং কাগাকে এই রহস্য উদঘাটনে জানতে হবে যে ‘কেন’ খুনটা করা হয়েছে। শুরু হয় খুনি এবং তদন্ত কর্মকর্তার ভীষণ এক ইঁদুর বেড়াল খেলা, যার উত্তর প্রোত্থিত আছে সুদূর অতীতে। কাগা যদি জানতেই না পারে যে কেন খুনটা করা হয়েছে, তাহলে সত্যটা চিরদিনের মত ঢাকা পড়বে।
‘ডিভোশন অফ সাসপেক্ট এক্স’ এবং 'স্যালভেশন অফ আ সেইন্ট' খ্যাত কিয়েগো হিগাশিনোর সর্বাধিক বিক্রিত উপন্যাসগুলোর একটি হচ্ছে 'ম্যালিস'। পাঠককে স্বাগতম ডিটেক্টিভ কাগার সাথে সত্য উদঘাটনের লড়াইয়ে...