কাব্যই তার আজন্ম আরতি— এমন প্রজ্বলিত, গ্রন্থিত ঘোষণা দিয়ে আশি’র দশকের কবিতা-সামুরাইদের ঘুম হারাম করেছিলেন হাবিব আহসান। দীর্ঘ শীতনিদ্রা শেষে এই ভুজঙ্গ তার ছুরুম বদলেছেন। নতুন, চকচকে গতরে পাহাড়-বনানী-কংক্রিটের রাজপথ আর গুলি-সন্ত্রাসের ভেতর ফণা উজিয়ে এবার দাঁড়িয়েছেন দেখি সহাস্যে। আপাদমস্তক কবিতাময় উচ্চারণের নব্যকথন তার পংক্তিতে-পংক্তিতে। অতিশয় ক্ষুদ্রও তার চেরা চোখের অলিন্দে ঘর বানায়। প্রবল দুরাশয়ও এই কবির পানপাত্রে ঘাম ঝরিয়ে ধীরে প্রস্থান করে সাধুবচনের তকবির তুলে কাব্যিকতার আশ্রয়ে।
জীবন ও কবিতা যে একই রেশমি বস্ত্রের এপাড়-ওপাড় আর ভারি জৌলুশময়— কান্নাচাপা— বেদনাহরা— হাবিব আহসানের কবিতা সে কথা বারবার জানান দেয়।
প্রাণঘষা জ্বালা প্রেম গার্হস্থ্য বন্ধুতা আর প্রতাপশালী সমঝোতা কবিতাগুলোকে নহলি জলধারার লাবণ্য দিয়েছে— ঠিক ঘোর বরিষণে কুঞ্জছায়ার নিচ দিয়ে কলকল শব্দে বয়ে যাওয়া ছরার চলন শব্দের মতো।
—হাফিজ রশিদ খান