Category:পশ্চিমবঙ্গের বই: উপন্যাস
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
দ্য ইডিয়ট
মাস্টারমশাই আজ মুখোমুখি ঝগড়াই করেছেন বলতে গেলে। তবে ঝগড়া না বলে সেটাকে একতরফা ভর্ৎসনাই বলা উচিত। লিও একদম রা করেনি।
মাস্টারের বক্তব্য পরিষ্কার। গাঁয়ের লোক তাঁকে শহর থেকে এনেছে পাঠশালের ছেলেমেয়েদের পড়াবার জন্য। পড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের নীতি-শিক্ষা সহবৎ- শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্বও অবশ্যই তাঁরই উপরে দেওয়া হয়েছে। তা সে ব্যাপারে অন্য একজন লোক ক্রমাগত হস্তক্ষেপ করতে থাকলে তিনি নিজের কাজ কেমন করে করেন? বিশেষ করে সে-লোক যদি বিদেশী হয়?
‘বিদেশি' কথাটার উপরে অনেকখানি জোর দিয়েছেন মাস্টার। তাঁর ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। তিনি বলতে চান যে যেহেতু লিও নিকোলায়েভিচ মিস্কিনের বাড়ি রুশিয়ায়, সুইজারল্যান্ডের শিশুদের ভালো কিয়ে হবে, মন্দ কিসে হবে, তো বোঝবারই শক্তি তার নেই। যেভাবে লিও মানুষ হয়েছে রুশ দেশে, সেভাবে সুইস্ ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে গেলে অনর্থ হবে।
দৃষ্টান্তস্বরূপ মেরির নামটাও একবার টেনে এনেছিলেন মাস্টার। মেরি মরেছে। মরে নিজেও বেঁচে গিয়েছে, বাঁচিয়ে গিয়েছে গ্রামটাকেও। কুড়ি-বাইশ বছরের মেয়েটা ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিল, সাতদিন কোনো পাত্তাই ছিল না তার। তারপর ফিরল যখন ধুম জ্বর গায়ে, খকখক কাশছে ক্রমাগত, শোনা গেল খোলা মাঠে একরাত কাটাতে হয়েছিল তাকে।
ঘরে তার বুড়ি মা শুধু। অথর্ব, অনড়। মেরিই পাড়াপড়শির ঘরে গতরে খেটে তাকে খাইয়েছে এতকাল। তখন গতরে তাগদ ছিল মেরির। এখন তাগদ নেই, তবু মরতে মরতে সে খাটতে রাজি এখনও, কিন্তু কাজ কই? আগে যারা কাজ দিত, এখন তারা দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয় মেরিকে। ঘরপালানী মেয়ের মুখ দেখতেও নারাজ গাঁয়ের গিন্নীরা।
তবে গিন্নীরা মেরির মায়ের একটা ব্যবস্থা করেছে। পালা করে এক এক বাড়ি থেকে তার জন্য খাবার আসে এক একদিন। বুড়ি তা অম্লানবদনে একা একাই গেলে।
Report incorrect information