গীতাঞ্জলি শ্রীর নির্বাচিত সংকলন করা কষ্টসাধ্য কাজ। নির্বাচিত গল্প সংকলন সাধারণত প্রতিনিধিত্বমূলক গল্প নিয়ে হয়ে থাকে। কিন্তু এই প্রতিনিধিত্ব কী? যেসকল রচনায় লেখকের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো উপস্থিত থাকে তারাই তো লেখকের প্রতিনিধিত্ব করে।
কিন্তু যেকটি গল্প গীতাঞ্জলি লিখেছেন তার সবকটিতেই তাঁর মৌল
স্বভাব ধরা রয়েছে। তা সত্ত্বেও তার প্রতিটি রচনা কোনো না কোনোভাবে স্বতন্ত্র। একটি দিয়ে আরেকটিকে প্রতিস্থাপিত করা যায় না। ফলে গীতাঞ্জলি শ্রীর নটি গল্পের বর্তমান বাংলা অনুবাদ সংকলনকে কেউ অসম্পূর্ণ বললে আপত্তি করা যাবে না। অসম্পূর্ণ এই অর্থে যে এতে আর দু-চারটে গল্প যুক্ত করা যেত অনায়াসে কিংবা দুটি গল্পের বদলে অন্য দুটি গল্প নির্বাচন করা যেত। তবে একথা নিশ্চিত করে বলা যায় গীতাঞ্জলি শ্রীর গল্পের মৌল স্বভাব
ধরা রয়েছে এই সংকলনে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেমন তাঁর এই মৌল স্বভাব?'এক আশ্চর্য নৈর্ব্যক্তিক পরোয়াহীন ভাব, এক আশ্চর্য ধরনের দার্শনিকতা,
এক আশ্চর্য ধরনের ভাষা, এক আশ্চর্য ধরনের প্রবহমানতা। কিন্তু এই আশ্চর্য স্বভাবই শিল্পী হিসেবে তাকে এক ব্যক্তিত্ব প্রদান করে। এখানে একথা বলা জরুরি যে এর সবই ঘটে ঐতিহ্য থেকে একটু দূরে সরে গিয়ে এবং একই সঙ্গে ঐতিহ্যের মধ্যে সমাহিত থেকে।' শুনতে একটু আশ্চর্য........