প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জনসাধারণ এবং তাদের জানমালের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ গ্রামাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
ঠিক রাখার জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ
চৌকিদার ও দফাদারদের নিয়োগ হয়েছে। তাঁরা অপরাধ
দমনে থানা পুলিশকে যথাযথ সহায়তা প্রদান করবেন কোনো
সন্দেহজনক ব্যক্তি বা অন্য কোনো কারণে গ্রামের শান্তি
শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে জানতে
পারলে গ্রামপুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তা থানার ওসিকে অবহিত
করবেন। কোনোপ্রকার মহামারির আশঙ্কা, কোনো বাঁধ বা সেচ প্রকল্পের ক্ষতির
সম্ভাবনা বা কোনো সম্পত্তি অন্যায় দখলের অপচেষ্টা হলে গ্রামপুলিশ স্থানীয় ইউনিয়ন
পরিষদ চেয়ারম্যানসহ থানার ওসিকে তাৎক্ষণিকভাবে তা অবহিত করবেন। এছাড়া
রেললাইন, টেলিফোন, টেলিগ্রাম, ইলেকট্রিক লাইন, টিউবওয়েল এবং অন্যান্য সরকারি
সম্পত্তি ক্ষতির সম্মুখীন হলে গ্রামপুলিশ সে বিষয়টিও স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ওসিকে
অবহিত করবেন। গ্রামপুলিশ কেউ আদালতগ্রাহ্য অপরাধ করলে বা কারো কাছে
কোনো সিঁধেল চুরির যন্ত্র বা চোরাই মাল পেলে বা কেউ হাজত থেকে পলায়ন করে
গ্রামে আশ্রয় দিলে তিনি তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে থানার গ্রামপুলিশদের নিয়ে
সাধারণত কেউ খুব একটা ভাবেন না, কিন্তু সহকারী পুলিশ সুপার (অবসরপ্রাপ্ত) মোঃ
শহিদুল্লাহ্ স্যার গ্রামপুলিশদের সার্বিক বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং তিনি তাঁর
গবেষণালব্ধ ফলাফল নিয়ে প্রকাশ করেছেন কাছের বন্ধু গ্রামপুলিশ বইটি; যা পড়ে
সর্বসাধারণসহ থানা পুলিশ এবং গ্রামপুলিশ উভয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে
ভালোভাবে ওয়াকিবহাল হয়ে আইনশৃঙ্খলা সুদৃঢ় রাখার ক্ষেত্রে সফল ভূমিকা রাখতে
পারবেন। আমি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, লেখক ও কলামিস্ট মোঃ শহিদুল্লাহ্ স্যারের
লেখা 'কাছের বন্ধু গ্রামপুলিশ' বইয়ের সার্বিক সাফল্য কামনা করি