Category:ঐতিহাসিক উপন্যাস
কর্ণ মহাভারতের সর্বাধিক অবহেলিত অথচ অপরিহার্য চরিত্র ।
জন্মমাত্র মা কুন্তী সমাজভয়ে তাকে নদীতে বিসর্জন দেন। ক্ষত্রিয়কুলে জন্মগ্রহণ করেও বর্ণাধম সূতপুত্রের অপমান সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়েছে কর্ণকে । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ যখন বাধে, এই রাধেয় কৰ্ণ সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সহোদরদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী লড়াইয়ে নামতে হয় তাকে। জননী কুন্তী স্বার্থপর এক নারীরূপে কর্ণের সামনে উপস্থিত হন । মায়ের আত্মপরতা বুঝেও মাকে খালি হাতে ফেরায় না কৰ্ণ । কর্ণের জীবনে গভীর এক উদাসীনতা নেমে আসে ৷ দানশীলতায় মগ্ন হয়ে পড়ে। দেবরাজ ইন্দ্রকে চিনতে পেরেও রক্ষাকবচ তাঁর হাতে তুলে দেয়। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে আরেকজনের হাতে তুলে দেবে বলে প্রাণটা রক্ষা করে চলে ।কার হাতে তুলে দেবে প্রাণটি? কোন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবার জন্য প্রাণবিসর্জনকে তোয়াক্কা করে না কর্ণ? পঞ্চপাণ্ডব কারা? তারা কি প্রকৃতই পাণ্ডুপুত্র? কুন্তী কি স্বামীনিষ্ঠ? কৃষ্ণ কি দেবতা? না দেবতার আড়ালে দুর্দান্ত এক বর্ণবাদী কূটকৌশলী? কর্ণের কাছে মাতৃত্ব বড়, বন্ধুত্ব শ্রেয়?
এসব প্রশ্নের অনুপুঙ্খ উত্তর আছে ‘কর্ণ’ নামের এই উপন্যাসে ।
হরিশংকর জলদাসের ভাষা এখানে তীব্রভাবে আকর্ষণীয়।
Report incorrect information