2 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 350TK. 309 You Save TK. 41 (12%)
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
Related Products
Product Specification & Summary
সংসার জীবনের শুরুতেই আকস্মিকভাবে ভুটানে যাওয়ার ডাক এলো। সেই নব্বই দশকের প্রথম ভাগে না ছিল ভালো টেলিযোগাযোগমাধ্যম না ইন্টারনেটের যুগ। স্বামীর পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে তবুও পরিবার-পরিজন রেখে ভারাক্রান্ত মনে যেতে হয় ভুটানে।
কখনো কখনো জীবনে অলৌকিক কিছু ঘটে আর তা আপন ইচ্ছের বিরুদ্ধেই। ভুটানে যাওয়াটা আমার জীবনে সেই অলৌকিক প্রাপ্তি হয়েই দেখা দেয়। আমি যখন কোনো স্থান ভ্রমণ করি, তখন তা অন্তর্চক্ষু দিয়েই দেখার চেষ্টা করি। আর যদি তা কোনো দেশ হয় তাহলে সেখানকার প্রকৃতির সাথে দেখি সেই দেশের সমাজব্যবস্থা-সংস্কৃতি, সর্বোপরি মানুষকে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই ভুটানকে নিয়ে লিখলাম। ১৯৯১ সালে ভুটান যাই; ছিলাম ১৯৯৪ সাল অবধি। সেই ভুটানকে নিয়ে লিখলাম ২০২২ সালে এসে। হয়তো বহু স্মৃতি তামাদি হয়ে গিয়েছে, হয়তো বহু কিছু বদলেও গিয়েছে। জীবনের ব্যস্ততায় সময় হয়নিকো সে স্মৃতি রোমন্থনের। ২০১৮ সালে আবারও ভুটান ভ্রমণের সময় মনে হলো এবার লিখে ফেলি ভুটানের কথা। অনেকেই এখন ভুটান ভ্রমণ করছেন। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি সেই ২৪ বছর আগে থেকে আজকের সময় পর্যন্ত দুই মলাটে আবদ্ধ করার। মূলত প্রবাস জীবন হলেও তাতে ভ্রমণ কাহিনির ছোঁয়াও আছে, আছে একটি পূর্ণাঙ্গ সমাজ ও রাষ্ট্রকে তুলে ধরার প্রয়াস।
এ কাহিনি লিখতে সর্বতোভাবে যারা সাহায্য করেছেন তাদের মধ্যে আছে দুই সন্তান শার্লট ও আনুশকা। তার সাথে আছে তাদের বাবা মেজর জেনারেল কাজী ফকরুদ্দীন আহমেদ। কিন্তু যে গল্পের সমাপ্তিই টানতে পারতাম না যদি না লেখক, সংগঠক স্বপন মিয়া নামের তরুণটি আমার পাশে না দাঁড়াতো। মাতৃহারা এই ছেলেটি আমার মতো মানুষকে মাতৃজ্ঞানে ভক্তি করে। সার্বক্ষণিক উৎসাহ দিয়ে বোনদের পাশেই থাকে। এদের কাউকে কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে শেষ করতে পারবো না!