10 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 510TK. 439 You Save TK. 71 (14%)
Related Products
Product Specification & Summary
স্বাধীন বাংলাদেশে ব্যাংক ব্যবস্থার পুনর্গঠন
স্বাধীনতার পর দেশের অর্থনৈতিক পুনবার্সন, পুনর্গঠন ও সংস্কারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ ঢেলে সাজানো। এক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা ছিল অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং কার্যকর। ১৯৭০ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের ফলে স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল। ১৯৭০ সালে সাইক্লোনে তৎকালীন মোট জাতীয় উৎপাদনের ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বিনষ্ট হয়। পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় সাইক্লোন বিধ্বস্ত অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য অর্থনৈতিক বা সামাজিক পুনবার্সনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অর্থনৈতিক ক্ষতি-সবমিলিয়ে পুরো দেশই ছিল প্রায় বিধ্বস্ত। বাংলাদেশ ব্যাংকে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা বা গোল্ড রিজার্ভ ছিল না। দেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন কাঠামো, আর্থিক কাঠামো, ব্যাংক ব্যবস্থা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
দেশের ভেতরে ব্যাংকের বহু শাখা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল, বহু শাখা লুট করা হয়েছিল, হত্যা করা হয়েছিল অনেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ বাঙালি ব্যাংকারদের।
যুদ্ধচলাকালে এ দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের আমানত ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরবৈদেশিক মুদ্রা পাচার করে দেয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ পুনর্গঠন ছিল দুরূহ কাজ। স্টেট ব্যাংক অব
পাকিস্তানের নীতিনির্ধারণী কাজ, মুদ্রা ও বিষয়ক ব্যাংকিং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতো পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে। এ অবস্থায় পুরো ব্যাংক ব্যবস্থা পুনর্বাসন ও অর্থনৈতিক গতি চালু করতে ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি আদেশ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক গঠন করা হয়। এই আদেশ কার্যকর করা হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে।