একজন মানুষের বড় গুণ সে সুন্দর করে কথা বলতে পারে। জড়তা ছাড়া ভাব বিনিময় করতে পারে। অন্য মানুষ মুগ্ধ হয়ে তার কথা শোনে। মুগ্ধপ্রিয়তায় তিনি বাচিক হয়ে ওঠেন। একসময় কবি হয়ে ওঠেন। এতসব গুণ কীভাবে পায়? কী তাকে বাগমুগ্ধতার চূড়ায় উঠায়! সেটি আর কিছু নয়, সেটি আবৃত্তি।
আবৃত্তি শিখলে শুধু মঞ্চের বাচিক শিল্পী নয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে বাচিকশিল্পী হওয়া যায়। মহানবি বলেছেন (সা.), ‘তোমাদের শিশুদের আবৃত্তি শেখাও তাহলে তাদের কণ্ঠ সুরেলা ও মধুর হবে।’ আবৃত্তি একটি টেকনিক্যাল শিল্প; এটি কণ্ঠ ও উচ্চারণের ওপর নির্ভরশীল। এ সম্পর্কে পবিত্র সরকার বলেছেন, ‘সবচেয়ে জরুরি হলো কণ্ঠনির্মাণ এবং উচ্চারণে উপযোগী হওয়া। কণ্ঠনির্মাণ ও উচ্চারণ হলো আবৃত্তির টেকনিক্যালের দিক। টেকনিক আয়ত্ত না হলে কোনো শিল্পেই সাফল্য আসে না।’
আবৃত্তির জন্য সাধারণ জ্ঞান, আবৃত্তির উপাদান, বিরতি, রস, ছন্দ, শব্দালংকার, কথার ধীরতা, শুদ্ধশব্দ, শুদ্ধবাক্য, শব্দের দরদি উচ্চারণ ব্যাস এটুকুই; সবাইকে মুগ্ধতার চাদরে জড়িয়ে রাখা যায়। এসবের কারণে গল্প, প্রবন্ধ, নাটিকা, চিঠি, ছড়া, কবিতা সবই স্থান পায় কণ্ঠের নাটকীয়তায়।