1 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 125TK. 121 You Save TK. 4 (4%)
Related Products
Product Specification & Summary
সালমান রুশদির জন্ম বোম্বেতে ১৯৪৭ সালে, ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনে। পড়ালেখা ওইখানে আর ইংল্যান্ড মিলায়ে, পরে ইংল্যান্ডেই লেখালেখির জীবনের বেশিরভাগ অংশ কাটান। ইদানীং রুশদি মূলত তার নিউইয়র্কের বাড়িতেই থাকেন, সেইখানেই এই ইন্টারভিউটা গত এক বছর ধইরা কয়েক দফায় নেয়া হয়। কাকতালীয়ভাবে, দ্বিতীয় দফার ইন্টারভিউটা নেয়া হইসিলো ২০০৫ সালের ভ্যালেন্টাইন্স ডে'তে, যা কিনা একইসাথে রুশদীর বিরুদ্ধে আয়াতুল্লাহ খোমেনীর ফতোয়ার ষোলতম বছরপূর্তির দিন। সেই ফতোয়ায় রুশদীরে সেটানিক ভার্সেস লেখার জন্য কাফের দাবি করা হয় এবং ইসলামী আইন মোতাবেক তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়। ১৯৯৮ সালে, মোহাম্মেদ খাতামি, ইরানের প্রেসিডেন্ট এই ফতোয়া নাকচ করে, এবং রুশদীও ধারণা করেন বিপদ কাইটা গেসে। কিন্তু কট্টরপন্থী মুমিনেরা মনে করেন ফতোয়া নাকচ করা যায় না এবং রুশদীর ঠিকানা এখনও গোপন রাখা আছে।
যেই লোকরে ঘিরা এত ভয়ানক কাণ্ড ঘইটা গেলো, যারে এইভাবে প্রকাশ্যে ঘৃণা ও অপবাদ দেয়া হইসে, হুমকি ও তলব করা হইসে, যার কুশপুত্তলিকা পুড়ানো হইসে, আবার যারে তুইলা ধরা হয় বাকস্বাধীনতার এক অনন্য আইডল হিসেবে, এরকম একটা মানুষের হিসাবে রুশদী খুবই সাবলীল আর ক্যান্ডিড—তিনি খুব কর্কশও না আবার ভিক্টিম মেন্টালিটিরও না। ক্লিন শেভ করা, জিন্স আর সোয়েটার পরা, তারে দেখতে অনেকটা রিচার্ড অ্যাভেডনের ১৯৯৫ সালের বিখ্যাত পোর্ট্রেটের সেই আসামীর মত দেখায় যে নিজের অভিযোক্তাদের দিকে তাকায়ে ছিল। "আমার ফ্যামিলি ওই ছবিটা সহ্যই করতে পারে না," হাসতে হাসতে বলতেসিলো উনি। আর পরে যখন জিজ্ঞেস করা হইলো ছবিটা কোথায় রাখা, সে শয়তানি হাসি দিয়া বললো, "দেয়ালেই ঝুলানো।"
যখন সে লিখতে বসে, রুশদী বলেন, "তখন আমার জন্য দিনের বেলা নিজের রুম হইতে বের হওয়া বেশ অস্বাভাবিক ঘটনা।" কিন্তু গতবছরের শেষেই উনি শালিমার দ্য ক্লাউন, উনার নয় নাম্বার উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি জমা দিসেন, এবং এখনও নতুন কোনো কাজে হাত দেন নাই। যদিও উনার দাবি এই উপন্যাসটা লিখতে গিয়া তার সব রসদ ফুরায়ে গেসে, তবু দেখা গেলো নিজের অতীত, লেখালেখি আর রাজনীতি নিয়া আলাপ করতে করতে যেন উনি জোশ ফিরা পাইতে লাগলেন। আলাপ করার সময়ও রুশদী সেই একই মানসিক কসরত জারি রাখেন যা তার ফিকশনে পাওয়া যায়—মূল কথায় ফিরা আসার আগে অসংখ্য শাখা-প্রশাখা গজাইতে থাকে যা বিভিন্ন মহাদেশ আর ঐতিহাসিক সময়কালরে টোক্কা দিয়া চইলা আসে।