বাচ্চু মিয়ার ছেলে মানিক আম পাড়তে উঠে ভরদুপুরে যে গাছটাতে ঘুমিয়ে পড়েছিল, সেটাই মুকুল ভাইদের বাগানের সবচেয়ে বড় গাছ। সেটার পেছনে
এক সারিতে দুটি নারকেল গাছ ও একটি কাঁঠাল গাছ চাচাতো-মামাতো ভাইয়ের মতো দাঁড়িয়ে। হাত-পা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কাঁঠাল আর আম গাছটাই সিংহ ভাগ
দখল করে আছে বাগানের। পুব দিক ঘেঁষে সুন্দর করে বেড়ে ওঠা জামগাছটায় কম করে হলেও কাকের চারখানি বাসা। বাবলুর বাবা-মা যে রুমে শোয়, সেই রুমের জানালা দিয়ে তাকালে আতা গাছটা চোখে পড়ে। অলস দুপুরে কখনো
দোয়েল বসে থাকে। রাতে বাদুড় ফল খেয়ে যায়। আর দিনমান টুনটুনি, চড়ুইর কিচিরমিচির তো আছেই। বাবলুদের দুই রুমের বাসা। আসলে রুম একটা। সামনে বারান্দাসম করিডোরটাকে আরেকটা রুম বানানো হয়েছে। বানিয়ে
দিয়েছেন বাড়িওয়ালাই। খাট বরাবর একটা জানালা আছে। শুয়ে দক্ষিণ দিকে তাকালে বড় পেয়ারা গাছটা নজরে পড়ে। পাশাপাশি দুটি পেয়ারা গাছ।