কবিতা হচ্ছে নির্মাণ অথবা সৃষ্টি, ভাষার নান্দনিক প্রকাশ। উইলিয়াম
প্রত্যেক মানুষের মনেই বিরাজমান থাকে এক কবিসত্তা। ছন্দময়
জীবনের ছন্দপতনেও কেউ কেউ দেখতে পায় জীবনের অন্য একটি
মানে, ভিনড়ব কোনো রঙে মনের গভীরে শিল্পিত ক্যানভাসে আঁকা ছবির
মতো অনন্য এক বোধ সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়ান সারাটা জীবন। এই
মানুষদেরই কেউ কেউ সে ছবি প্রকাশ্যে আনেন, স্বভাবজাত কাব্যিক
উপস্থাপনায় হয়ে উঠেন গণমানুষের কবি, নির্মাণ করেন সমাজের
বিমূর্ত রূপ অনিন্দ্য কবিতা। কবি অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে যা দেখেন, যা তার
মনোজগতে আঁচড় কাটে সাধারণের অলক্ষ্যে তারই শাব্দিক প্রকাশ
কবিতা। যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, “অন্তর হতে আহরি বচন/
আনন্দলোকে করি বিরচন।
এই আনন্দলোকে বিরচন করার মানসে চলন্তিকা প্রকাশনীর
উদ্যোগে সামসময়িক সময়ের পনেরোজন কবির পাঁচটি করে
কবিতার সমন্বয়ে প্রকাশিত প্রেম, দ্রোহ, নির্ঘুম রাতের স্মারক
ও সময়ের সৃজনশীল ভাবনার যুগল কাব্যসংকলন পঞ্চদশ এবং
পঞ্চস্বর।