Category:পশ্চিমবঙ্গের বই: উপন্যাস
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
বইটি বিদেশি সাপ্লাইয়ারের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে ৩০-৪০ দিন সময় লাগবে।
এ টেল অব ট্যু সিটীজ
খৃস্ট জন্মের ১৭৭৫ বৎসর পরে।
নভেম্বর মাসের এক সন্ধ্যা। গড় গড় করে একখানা ঘোড়ার গাড়ি ছুটছিল ডোভারের রাস্তা ধরে। মস্ত লম্বা গাড়ি, অনেক লোক তাতে যেতে পারত, কেউ ভিতরে, কেউ ছাদে। তখন রেলগাড়ি ছিল না, ডাক চলাচল করত এই রকম সব ঘোড়ার গাড়িতে। এ গাড়িটাও সেই ডাকগাড়ি ।
.. মাত্র সাতাশ মাইল চওড়া সমুদ্রের খাঁড়ি। নাম তার ইংলিশ চ্যানেল। তার এপারে ইংলন্ড, ওপারে ফ্রান্স। দুই দেশের ভিতর অনবরত লোকের আনাগোনা। এই ডাকগাড়ি ছাড়া সে সব লোকের চলাচলের আর কোন উপায় ছিল না সেকালে। এপারে ওপারে সারা পথটাই চলতে হত ডাকগাড়িতে ; মাঝখানে শুধু খাঁড়িটুকু পার হওয়ার জন্য ছিল জাহাজ।
সেই সন্ধ্যাবেলা।
গাড়িখানা একটা ছোট পাহাড়ের নিচে দিয়ে চলেছে। হঠাৎ একজন লোককে ঘোড়া ছুটিয়ে আসতে দেখা গেল সেই গাড়ির দিকে। সে গাড়ির কাছাকাছি এসেই চিৎকার করে উঠলো— “গাড়ি থামাও!”
ডাকগাড়ির চালক গাড়ি থামিয়ে দিলো। অশ্বারোহী তখন গাড়ির কাছে এসে পড়েছে। সে তাড়াতাড়ি দরজার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো—টেলসন ব্যাঙ্কের মিঃ লরী এই গাড়িতে আছেন কি? গাড়ির ভিতর থেকে মুখ বাড়িয়ে একটি ভদ্রলোক বললেন—আমিই মিঃ লরী ! কি দরকার আপনার বলুন।
লোকটা তখন তার পকেট থেকে একখানা খাম বের করলো। খামের মুখ আঁটা। সেটা মিঃ লরীর দিকে এগিয়ে ধরে বললো— আপনার চিঠি।
—আমার চিঠি!
-হ্যাঁ, ব্যাঙ্ক থেকে দেওয়া হয়েছে, খুব জরুরি চিঠি।
মিঃ লরী লোকটার হাত থেকে চিঠিখানা নিয়ে তাড়াতাড়ি খুলে পড়লেন। চিঠিখানা খুবই ছোট। তাতে লেখা ছিল—
“মিঃ লরী,
ডোভারের রয়্যাল জর্জ হোটেলে দেরি করবেন একটু। সেখানে আসবেন সেই ভদ্রমহিলা। আপনার সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়া দরকার!”
Report incorrect information