মায়ের ভালোবাসায় সিক্ত বাবলু ভুলেই গেছিল বাবার ব্যবধান, অথচ মায়ের মৃত্যু ঠিকই তার জীবনকে উল্টেপাল্টে দিলো।
সকাল থেকে রাত অব্দি কোথায় যেন, কী যেন নেই। কিশোর বাবলু ঠিক একটিবার ছুটে চলে রিনিদের শান বাঁধানো পুকুর ঘাটের সামনে, ঠিক যেখানটায় রিনি বসে থাকতো। মেয়েটাকে একটাবার দেখলেই বুঝি এই মানব জীবনের স্বার্থকতা!
গ্রামীণ জীবন ছেড়ে শহুরে জীবনে প্রত্যাবর্তন করার আগ মুহূর্তে গ্রামকেন্দ্রিক বেড়ে ওঠা একটা ছেলের জীবনে কেমন পরিবর্তন আসতে পারে? এর বড় সাক্ষী বাবলু নিজেই।
অচেনা কিশোরী অমিতা দাস যেন ওর সামনে ধর্মের এক দেয়াল দাঁড় করিয়ে দেয়। কাকে তার চাই? রিনি, নাকি অমিতা? গোলকধাঁধা আরো গভীর হয়।
বাবার অভাব পূরণ করেছিল মা। কিন্তু মায়ের অভাব? বড় ভাই আলম কি সত্যিই পেরেছে সে দায়িত্ব পালন করতে?