31 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 500TK. 439 You Save TK. 61 (12%)
In Stock (only 1 copy left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
Related Products
Product Specification & Summary
বীজের অঙ্কুরোদ্গম হতে কৃষির সূচনার ফলে যাযাবর মানুষ একদিন থিতু হয়েছিল। ইতিবৃত্ত বলে, কৃষির সেই প্রাথমিক সূচনা নারীর হাতেই হয়েছিল। পরবর্তীতে মানুষ যখন সমাজ গঠন করল, নারীই ছিল প্রধান। কাল পরিক্রমায় সে স্থান ক্রমেই পুরুষের অধিকারে এসেছে। নারী পড়ে গেছে পাদপ্রদীপের অন্ধকারে। কেবল পিছিয়ে যাওয়াই নয়, কালে কালে হয়েছে নিগৃহীত।
এই পশ্চাদপদতা, নিপীড়নের বিরুদ্ধে নানা সময়ে নারীরা প্রতিবাদমুখর হয়েছেন কিন্তু তাতে দৃশ্যপট খুব একটা পরিবর্তিত হয়নি। একুশ শতকে এসে নারীরা এই নিপীড়ন এবং তাদের অধিকার সম্বন্ধে তুলনামূলক অধিক সোচ্চার। তাই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আমার হঠাৎ চোখ পড়ে দ্রৌপদীর উপর। পৃথিবীর প্রধান চারটি মহাকাব্যের মধ্যে বোধ করি দ্রৌপদীই সর্বাধিক সোচ্চার, সক্রিয় এবং প্রতিবাদী নারী চরিত্র। বহুকাল ধরে নানা জনে তাঁকে নানা দৃষ্টিতে বিচার করেছেনÑ কখনো তিনি মহাকাব্যের নায়িকা, কখনো নারীবাদের প্রতীক। কিন্তু দ্রৌপদী আমার চোখে খানিক ভিন্নরূপে ধরা দেয়। তাই তিনি ভিন্ন আঙ্গিকেই উপস্থাপিত।
মহাভারতের মিথ, অলৌকিকতাকে পাশে রেখে এই উপন্যাসে রক্তমাংসের দ্রৌপদীর ছবিটি আঁকতে চেয়েছি। এই দ্রৌপদী কন্যা, জায়া, জননী, রাজ্ঞী। একজন পূর্ণাঙ্গ নারী যিনি জীবনের চূড়ান্ত অভীষ্ট লাভ করেছিলেন, তাঁর বাহ্যিক পরিচিতির সঙ্গে সঙ্গে মনোজগতের সন্ধান করতে গিয়ে ভারতবর্ষের অতীত, বর্তমান, পৌরাণিক এমনকি অনাগত নারীদের নিভৃত মানসের আখ্যান হতে চায় ‘দ্রৌপদী’।