ফেন্সিং, নামের সাথেই জড়িয়ে আছে আভিজাত্য। এটি একটি অভিজাত খেলা। একটা সময় ছিলো, যখন অভিজাতদের পোশাকের সঙ্গে সাঁটা থাকতো তলোয়ারের খাপ। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এটা দরকার ছিলো।
তলোয়ার মানেই লড়াইয়ের প্রতীক। ইতিহাসে খ্যাত লড়াকুরা তলোয়ার চালাতেন বাতাসের ভাঁজ বুঝে। পুরনো দিনকে টেনে আনা সিনেমাগুলো মানুষকে সেইসব দিনে নিয়ে যায়। চোখের সামনে আসে নানা বীরত্মগাঁথা।
যারা লড়াকু ছিলেন, লড়াই করেছেন যুদ্ধের মাঠে তারা তলোয়ার চালানোর কৌশল রপ্ত করে নিতেন। যার কৌশল যতোটা নিপুণ তার জয়ের সম্ভাবনা ততো। তলোয়ারখেলা একটি শিল্প।
যুদ্ধ ছাড়াও ঘরোয়াভাবে চলতো তলোয়ারের অনুশীলন। কখনো হাজার হাজার দর্শক ডেকে এনে আয়োজন করা হতো দ্ব›দ্বযুদ্ধের। কোনো এক লড়াকুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হতো এই যুদ্ধ।
এখন সময় পাল্টে গেছে। নিরাপত্তার জন্য এসেছে আধুনিক অস্ত্র। তবে তলোয়ার খেলাটা হারিয়ে যায়নি। ফেন্সিং হলো এই খেলার নিরাপদ সংস্করণ।
এই বইটি তলোয়ার খেলার ইতিহাস বা পরিচিতি নিয়ে নয়। বরং কৌশল নিয়ে। যারা এখনো বাতাস থেকে ইতিহাসের গন্ধ নিতে চান, তারা জেনে নিতে পারেন কৌশলগুলো। আর যারা শিখতে চান, তাদের জন্য খুব সম্ভবত বাংলা ভাষায় এটিই প্রথম বই।
বইটি যিনি লিখেছেন, তিনি মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম। বাংলাদেশে ফেন্সিং খেলা প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনিই। এবং ফেন্সিংকে এগিয়েও নিয়ে গেছেন অনেক দূর। যার হাত ধরে এই দেশে তলোয়ারখেলার যাত্রা, তাঁর লেখা তলোয়ার খেলার কৌশল আলাদা মাত্রা পাওয়ারই কথা।
আশা করছি পাঠকের ভালো লাগবে।