লেখকের ধর্মই হলো বিদ্ধ হতে হতে, পরাস্ত হতে হতে লেখা। এভাবেই যা কিছু গভীর ও গোপন, ফজলুল কবিরীর মগজ ফুঁড়ে তা-ই বেরিয়ে আসে ধীরে, প্রজ্ঞায়। প্রতিদিন যেসব গল্প নিয়ে মানুষ ঘোরাফেরা করে, খায়, ঘুমায় কিংবা এসবের বাইরে জীবনের বিবিধ মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করে অবচেতনে, তার সবটাই তিনি তুলে আনেন অন্যভাবে। প্রাত্যহিক জীবন থেকে বেরিয়ে চরিত্রগুলো হাঁটতে থাকে অন্য এক জীবনের নকশা বুনতে বুনতে। সংবেদনশীল সে মুহূর্তগুলোই গল্পে ধারণ করেন লেখক। আর তখন জীবনের আরেক রূপ আবিষ্কার করেন পাঠক। গল্প তাই অর্ধেক লেখকের, বাকিটা পাঠকের।