বইয়ের পাণ্ডুলিপি জমা দেওয়ার কয়েকদিন আগে দেখি নাসা’র বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, আমাদের গ্যালাক্সির ভেতরেই বেশকিছু গ্রহে প্রাণের সন্ধ্যান পাওয়া যাবে। এবং সেথায় মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণিদের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু ওই গ্রহগুলো পৃথিবী থেকে বেশ দূরে তাই এ মুহূর্তে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে না। তথাপিও প্রাণের অস্তিত্বের টের তো পাচ্ছেন। ‘থান্ডার বয়’-এ আমি তেমনটাই দেখাতে চেয়েছি।
দেখিয়েছি আমাদের গ্যালাক্সির অতিকায় ক্ষুদ্র প্রাণিবিশেষ অদ্ভুত প্রক্রিয়ায় আকস্মিক থান্ডার ঝড়ের সাহায্য নিয়ে ২০৭৫ সালের আধুনিক পৃথিবীর সহস্রাধিক বালকের ওপর আক্রমণ করে তাদের মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ওই বালকেরা সে-সময় কালো হয়ে যায়, ধাতবকণ্ঠে কথা বলে, পাশাপাশি খাওয়া-খাদ্য বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয় থান্ডার আক্রমণে পড়া ব্যতিক্রম বালকগুলো মানুষ হত্যাও শুরু করে। এমনি পরিস্থিতিতে থান্ডার বয়’দের শেষ পরিণতি কী হয় তা দেখাতে গিয়ে মহাবিশ্ব সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়েছে। সায়েন্স ফিকশন হলেও বইটি তাই তথ্য সমৃদ্ধ। এতে বিজ্ঞান, দর্শন এমনকি ধর্ম চিন্তাও স্থান পেয়েছে।