“আমার দুইটি ইচ্ছা ছিল বৃষ্টিদিনকে ঘিরে। আপনাকে নৌকায় বলেছিলাম, একটা সেদিনই পূরণ হয়েছিল। আরেকটা বাকি আছে। সেটা হলো, আমি আমার প্রিয়তমাকে নিয়ে নীপবনে যেতে চাই। আপনি কি যাবেন আমার সাথে?”
প্রতিটি মানুষই মানবিক অনুভূতিসম্পন্ন প্রাণী। যে যত কঠিন প্রশিক্ষনে প্রশিক্ষিত হোক না কেন, মানবীয় অনুভূতির ঊর্ধ্বে কেউ না। এসব উপলদ্ধি ও অনুভূতির প্রকাশ অবস্থাভেদে একেজনের ক্ষেত্রে একেরকম। তবে সাধারন বিবেচনায় প্রতিটি মানুষের হৃদয়ই একেকটি নীপবন। হাসি-কান্না, প্রেম-ভালোবাসা, সুখ-দুঃখ, রাগ-অভিমান-জেদ নামক নানা রঙয়ের অনুভূতিতে রঙিন এই নীপবন। এই অনুভূতিগুলো কখনো ছোঁয়া না গেলেও জীবনের চলার বাঁকে পথ পরিক্রমায় কখনো কখনো অনিবার্য হয়ে উঠে। এমনি করেই ভেঙ্গে পরে এক নীপবন আর সৃষ্টি হয় আরেক নীপবনের। “এসো নীপবন” বইটি যেন এসব অনুভূতির দৃশ্যমান ও বাস্তব রুপ।