১৯৩৭ সালের কথা। ওকামুরা গ্রামের সম্ভ্রান্ত ইচিইয়ানাগি পরিবার এর বড়ছেলে কেঞ্জোর বিয়ে হতে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এরকম আনন্দময় পরিবেশের মধ্যে একটা উদ্বেগজনক গুজব ছড়িয়ে পড়েছে—এক সন্দেহজনক ব্যক্তি নাকি গ্রামে তার ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছে।
বিয়ের রাতে এক বীভৎস চিৎকার, তারপর গা শিরশির করা কোতো বাদ্যযন্ত্রের সুরে ইচিইয়ানাগি পরিবারের ঘুম ভেঙ্গে গেল। ও কীসের শব্দ?
ওকামুরা গ্রামে মৃত্যুর আগমণ ঘটেছে। খুনী তার চিহ্ন হিসেবে ঘরের বাইরে রক্তমাখা একটা তলোয়ার বরফে গেঁথে রেখে গিয়েছে। আর রেখে গিয়েছে তার তিন-আঙ্গুলের ছাপ।
অতি শীঘ্রই বিখ্যাত ডিটেকটিভ কোসুকে কিনদাইচি’র ঘটনাস্থলে আগমণ ঘটলো। শুরুতে খুবই সাধারণ একটা হত্যাকাণ্ড ভাবলেও ধীরে ধীরে সে বুঝতে পারলো, এ কেসটা তার জীবনের সবচেয়ে কঠিনতম কেসগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব এ কেসের সমাধান কি সে আদৌ খুঁজে বের করতে পারবে? নাকি কোতো বাদ্যযন্ত্রের মধুর শব্দের কাছে সে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হবে?