“ক্ষমতা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
সমাজ-গতিবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় বিষয় চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে বিশ্বখ্যাত দু জন মনীষী কার্ল মার্ক্স ও সিগমন্ড ফ্রয়েড যথাক্রমে সম্পদ ও যৌনতাকে শনাক্ত করেছেন। কিন্তু বার্ট্রান্ড রাসেল তার অনবদ্য অনুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে ক্ষমতাকে সমাজ গতিবিজ্ঞানের কেন্দ্রিক বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ক্ষমতার ক্রমাগত ও চরম ব্যবহারে বিভিন্ন মাত্রায় এর পরিবর্তন ও রূপান্তর ঘটে।
বার্ট্রান্ড রাসেলের Power তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চিন্তায় একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। গ্রন্থটিতে আঠারােটি অধ্যায় রয়েছে। তিনি এ গ্রন্থে ক্ষমতাস্পৃহা, নেতা ও অনুসারী, ক্ষমতার প্রকার, রাজকীয় ক্ষমতা, যাজকীয় ক্ষমতা, নগ্ন ক্ষমতা, ক্ষমতা-দর্শন, ক্ষমতা বশীকরণ ইত্যাকার বিভিন্ন বিষয়ে মনােজ্ঞ ও বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞানগর্ভ আলােচনা করেছেন । পদার্থবিজ্ঞানে শক্তির রূপান্তরের মতােই ক্ষমতারও রূপান্তর ঘটে। শক্তির মতাে ক্ষমতারও বিভিন্ন রূপ রয়েছে এবং এর রূপান্তর একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও অনিবার্য প্রক্রিয়া। রাসেল ক্ষমতার আলােচনায় পদার্থবিজ্ঞানের এ সূত্রটিকে বিশেষভাবে বিবেচনায় নিয়েছেন। ক্ষমতার বহুমাত্রিকতা ও এর বিচিত্র ব্যবহার শনাক্তকরণে রাসেলের প্রয়াস এক অনন্যসাধারণ উদ্যোগ।