কাল ইরামের জন্মদিন। রাতে খাওয়া শেষে বিছানায় বসে অপেক্ষা করছে কখন ঘড়ির ছোট আর মেঝ কাঁটাটা বারোটার ঘরে এসে উপস্থিত হবে। কখন ওর ফেসবুক টাইমলাইন বার্থডে উইশ নোটিফিকেশন দিয়ে ভরে উঠবে।
ইরাম ঘরের এক পাশ থেকে আরেক পাশ পায়চারি করছে। ও অস্থির হয়ে পড়েছে; কোথাও স্থির হয়ে বসতে পারছে না। পড়ার টেবিলে রাখা ছোট ঘড়িটির দিকে তাকিয়ে দেখলো এগারোটা দশ বাজে। ঘড়ি ভুল সময় দিচ্ছে এই ভেবে ও মোবাইলের পাওয়ার বাটন চেপে স্ক্রিনের দিকে নজর দিলো। এগারোটা বারো বাজে। দুই মিনিট পিছিয়ে ছিলো পড়ার টেবিলের ঘড়ির সময়। যদিও ইরাম তেমন একটা সন্তুষ্ট হলো না মোবাইলের সময় দেখে। ও আরেকটু বেশি আশা করেছিলো।
ও মনে মনে ভাবছে, যখন নির্দিষ্ট কোনো সময়ের জন্য আমি অপেক্ষা করতে থাকি, তখনই সময় আমাকে বেশি অপেক্ষা করায় সেই সময়ের জন্য। আর যখন সেই কাঙ্ক্ষিত সময় চলে আসে তখন তাকে অনেক আদর যত্নে বেশিক্ষণ আটকে রাখতে চাইলেও সেই সময় আমার কাছে থাকতে চায় না।