শুভ্রা ফোনটা টেবিলের উপর রেখে একটু ঝুঁকে জিজ্ঞেস করলাে, “কী এমন দরকার যে আমাকে জরুরি তলব করলে এত বছর পর?”।
আশ্চর্য! আমি তাে শুভ্রাকে আসতে বলিনি! ওই তাে আমাকে দরকারি প্রয়ােজনে ডেকে আনলাে! আমি ধাক্কাটা সামলে নিলাম, কিছু বললাম না। দেখিনা, ব্যাপারটা কী। “কেন? খুব ঝামেলায় ফেললাম? আগেও তাে মেসেজ পাঠিয়েছি, তুমি রিপ্লাই করােনি। আজ আমার ভাগ্য ভালাে মনে হচ্ছে।” “দেখাে, এত বছর পরে হঠাৎ এক্স বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করার ইচ্ছা হওয়ার কথা না আমার। তুমি এমন কাকুতি মিনতি করে মেসেজ পাঠিয়েছাে, মনে হলাে তােমার খুব বিপদ .........
আই কেইম ফর ওল্ড টাইম সেক। এবার বলাে, কী ব্যাপার?” “শুভ্রা, আমি তােমাকে কোনাে মেসেজ পাঠাইনি, বরং তােমার কাছ থেকে মেসেজ পেয়ে এখানে এসেছি।”
শুভ্রার কপাল এবার সত্যি কুঁচকেছে। “কী বলছাে? কিসের ম্যাসেজ? আমি তাে পাঠাইনি! কোথায় সেটা, আমাকে দেখাও।” “ডিলিট করে ফেলেছি। মেসেজে লিখেছাে, পড়ে যেন মুছে ফেলি।” “দাড়াও দাঁড়াও! তােমার কাছ থেকে যে মেসেজ। পেয়েছি সেটাতেও লেখা ছিল, পড়ে যেনাে ডিলিট করি। পুরাে ব্যাপারটাই কেমন গােলমেলে মনে হচ্ছে।” হুম ঝামেলা তাে আছেই মনে হচ্ছে। হয় শুভ্রা আমাকে মেসেজ পাঠিয়ে এখন মিথ্যা বলছে অথবা অন্য কেউ আমাদের মধ্যে এই যােগাযােগ করিয়ে দিয়েছে। কিন্তু শুভ্রা কেনাে মিথ্যা বলবে? আর কে আবার আমাদের মধ্যে এই সংযােগ তৈরী করতে চাইবে?