চরক সংহিতা (১ম খণ্ড)
(কিছু অংশ)
চরক সুশ্রুতের সময় নিরুপন
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়
আয়ুর্বেদভাণ্ডারে চরক এবং সুশ্রুত এই দুই বিশাল গ্রন্থ দুইটী অমূল্য রত্ন। বহুকাল হইতে এই দুই রত্ন ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে বটে, কিন্তু এখনও ইহাদের প্রভা মলিন হয় নাই। উভয় গ্রন্থে শারীর তত্ত্ব, রোগের নিদান, ভৈষজ্য তত্ত্ব, রোগের চিকিৎসা, স্বাস্থ্যবৃত্তি, ধাত্রীবিদ্যা, প্রভৃতির মূলতত্ত্ব যথাসাধ্য আলোচিত হইয়াছে। জ্ঞানলিপ্সু স্বাধীনচেতা ঋষিগণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আলোচনার যে পথ আবিষ্কৃত করিয়াছিলেন, তাহা যদি অবাধে চলিতে পারিত, তবে বর্তমান সময়ে আমাদের জ্ঞানোন্নতির এরূপ অবস্থা হইত না।
চরক সাৰ্ব্বাঙ্গিক চিকিৎসার এবং সুশ্রুত শারীর তত্ত্বের[১] যে সমস্ত মূল সূত্র আলোচনা করিয়াছিলেন, পরবর্তী চিকিৎসকগণ যদি স্বাধীনভাবে তাহার উন্নতির জন্য চেষ্টা করিতেন, তাহা হইলে এই ভারতবর্ষে চিকিৎসা শাস্ত্রের অভূতপূর্ব্ব উন্নতি হইতে পারিত। দুর্ভাগ্যক্রমে স্বাধীন চিন্তাস্রোত এবং অনুসন্ধানপ্রিয়তা এই দেশ হইতে দেশান্তরে চলিয়া গেল।