18 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 400TK. 289
You Save TK. 111 (28%)
In Stock (only 1 copy left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
Related Products
Product Specification & Summary
"শরৎ রচনা-২"
বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। দারিদ্রের কারণে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেশি লেখাপড়া করতে পারেন নি। চব্বিশ বছর বয়সে মনের ঝোকে সন্ন্যাসী হয়ে গৃহত্যাগ করেছিলেন। সংগীতজ্ঞ হিসেবে খ্যাতির সূত্রে ঘটনাচক্রে এক জমিদারের বন্ধু হয়েছিলেন। জীবিকার তাগিদে দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন বার্মায়। শরৎচন্দ্র জীবনের এসব অভিজ্ঞতা ও বিচিত্র সব মানুষের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর অজস্র উপন্যাসে। বিশেষ করে সমাজের নিচু তলার মানুষ তাঁর সৃষ্ট চরিত্রে অপূর্ব মানব-মহিমা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে।
শরৎচন্দ্রের জন্ম ১৮৭৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে। তাঁর মৃত্যু ১৯৩৮ সালে কলকাতায়। তাঁর সাহিত্য জীবনের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের গল্প ‘মন্দির’ কুন্তলীন পুরস্কার পায় ১৯০৩ সালে। ১৯০৭ সালে ‘ভারতী’ পত্রিকায় ‘বড়দিদি' নামে শরৎচন্দ্রের একটি বড় গল্প প্রকাশিত হলে -এর অপূর্বত্বে সাধারণ পাঠক মনে করেছিল, রবীন্দ্রনাথই বােধহয় ছদ্মনামে এ কাহিনী রচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও পড়ে দেখলেন, এ গল্প যিনি লিখে থাকুন, তিনি একজন অসাধারণ শিল্পী। ক্রমে ক্রমে অপরিচয়ের মেঘ কেটে গেল। শরৎচন্দ্র ছদ্মনামের আড়াল থেকে স্নিগ্ধ আলােক নিয়ে রবির পাশেই উদিত হলেন উপন্যাস-গল্পে। সেই জীবনকে অবলম্বন করে তিনি নতুন সাহিত্যরস ও শিল্পদর্শন সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর চরিত্র ও শিল্প জীবন বড় বিচিত্র। কলকাতার সাহিত্যিক সমাজে বিচরণ করেও তিনি নিজের চারদিকে একটা অদৃশ্য যবনিকা টেনে দিয়েছিলেন।
শরৎচন্দ্রের প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ ‘বড়দিদি' ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর তিরিশখানি উপন্যাস ও গল্পসংকলন পাঠক সমাজে অসাধারণ প্রভাব বিস্তার করেছিলাে। তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় ‘শুভদা' (১৯৩৮) এবং ‘শেষের পরিচয়’ (১৯৩৯)। শেষােক্তটি অসম্পূর্ণ রেখেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর অবশিষ্ট অংশ রচনা করে শ্রীমতী রাধারানী দেবী। এছাড়াও শরৎচন্দ্র নিজেই তার কয়েকখানি উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছিলেন। (ষােড়শী-১৯২৮, রমা-১৯২৮, বিরাজবৌ-১৯৩৪, বিজয়া-১৯৩৫)। তাঁর দু’খানি প্রবন্ধ গ্রন্থ (নারীর মূল্য-১৩৩০, এটি তাঁর দিদি অনিলা দেবীর নামে প্রকাশিত হয়, তরুণের বিদ্রোহ-১৯১৯, স্বদেশ ও সাহিত্য-১৯৩২) এবং কয়টি বক্তৃতাও (শরৎচন্দ্র ও ছাত্রসমাজ) ছাপা হয়েছিল। তাঁর কিছু কিছু ব্যক্তিগত চিঠিপত্রও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। তিরিশ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এতগুলাে শ্রেষ্ঠ ও বিচিত্র গ্রন্থ রচনা করে শরৎচন্দ্র অদ্ভুত মানসিক দমের পরিচয় দিয়েছেন। তাতে কোন সন্দেহ নেই।