তার দাদায় বড় শখ করে নাম রেখেছিলো আয়নাল হক। সাতচল্লিশ থেকে সত্তর, এই চার দশকে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিকভাবে ভাঙতে ভাঙতে, ভাতের অভাবে আয়নাল হকরা হয়ে গেল আনু। অথচ তাদের আর্থিক অবস্থা মোল্লা, শেখ,
মৃধাদের চাইতে কোন অংশেই কম ছিল না। পালে (গোয়ালে) বিশাল আড়িয়া (পাগলা) গরু ছিল। ফটিক মাতুব্বরের আড়িয়া গরুটি তাদের ক্ষেতের কলোই সারাদিন খেলেও অন্যের ক্ষেত মাড়াতো না।
সেবার আড়ং এর দিনে খৈ তলায় আয়নালের বাবার (আছড়াবাদী) পাগলা গরুটি মোটা রশি ছিঁড়ে এমন নাম করলো যে কাদের শেখ, ফটিক মাতুব্বর, মিলন মাতুব্বর, ইয়াদ আলী মুন্সীদের গরুগুলোও হার মেনেছিলো আছড়াবাদীর পাগলা গরুর কাছে। এখন মৃধা বাড়ির ঈমান- হোসেনরা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে তাকে 'আনু' বললে তার মাথায় রক্ত উঠে যায়। তারা গ্রামের অনেককেই রইশ্যা, মহিসিং, ছনা ছত্তর, পাতু হালেম, ফডা কাশেম, কুকি, ঝইড়্যা, গহেইরা, মাইনক্যা, আইনফ্যা, ন্যাংড়া জসিম, কালামজি, ধলা বেপারি,কাঠমুন্সী, বিষা, ইষা, চিকনফকির, ভূষাইল্যা ... নামে ডাকে।