“জীবন প্রবাহমান নদীর মত, বহতা নদী যেভাবে কলকলিয়ে চলে আমাদের জীবন ও সভ্যতা সেভাবে এগিয়ে যায়। সুঁই যে গভীর মমতা দিয়ে কাঁথাকে স্পর্শ করে আমরা প্রতিক্ষণ সেভাবেই জীবনকেই উপভােগ করি আর এগিয়ে যায় আমদের জীবনের গল্প। গল্পের বুনন করি শুভ্র পাতায় পাতায় আবেগ আর ভালােবাসার মিলবন্ধনে। এগারসিন্ধুর উপন্যাসের চরিত্র আমদের জীবন থেকেই নেওয়া, এরা আমাদের চেনা ভুবনের আপনজন। যা আমরা দেখেছি, আজ আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে যাচ্ছি। মানুষের সেই কঠিন দিনের প্রেম আর ভালােলাগার এক সুখ অধ্যায়। তাইতাে তন্দ্রা মেয়েটা নিজের ভালােবাসাটাকে জানান দিতে চায় একান্ত করে, বলতে চায় প্রিয়জনের হাতটা ধরে “জোছনা বেচে আর কতদিন বাঁচা যায় তাই আজ সূর্যের দিকে হাত বাড়িয়েছি।” কিন্তু সে কি পেরেছিল? আমাদের হারিয়ে যাওয়া নব্বই দশকের সেই আজগর ফকিরকে আজও মনে পড়ে যায়। যে ছিল বয়াতী মানুষ, কিন্তু লিখতে পড়তে জানতাে না । মুখে মুখে গান রচনা করত। লিখে রাখত মনের পাতার শুভ্র রাফ খাতায়। মন খারাপের কঠিন দিনে বরফ কলিজায় জমানাে কষ্টগুলাে ছড়িয়ে দিত গানের কথায় কথায় মানুষের অন্তরে অন্তরে আর জানান দিত জীবনের অপ্রাপ্তিগুলাে।
চন্দ্রে যদি গ্রহণ লাগে নদীত লাগে টান, মনে যদি গ্রহণ লাগে চক্ষে নামে বান! এভাবেই এগিয়ে যায় এগারসিন্ধুর এর গল্প! ”