Category:শিশু-কিশোর গল্প
Get eBook Version
TK. 90* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
প্রথমেই তারা অঙ্ক কষতে শুরু করে। একেকজন একেক অঙ্ক নিয়ে বসে। কে সবার আগে শেষ করতে পারে সেই প্রতিযোগিতা। তারপর শুরু হয় ইংরেজি পড়া। পরি দল সব জনপ্রিয় ইংরেজি গানের সুরে পাঠ্য বিষয়ের শব্দগুলো বসিয়ে সুরে সুরে পড়তে থাকে। গান শেষে সবার হাসিমাখা করতালি। তারপর বাংলা। বাংলাও তারা পড়তে থাকে গানের সুরে সুরে। সাফওয়ান মুগ্ধ হয়ে পরি দলের হোমওয়ার্ক খেলা দেখতে থাকে। মাঝে মাঝে নিজেও সুর মেলায়। তারপর তারা শুরু করে চিত্রাঙ্কন। তারা আশপাশের সব আসবাবের ছবি আঁকে মনোযোগ দিয়ে। একজন তো সাফওয়ানের ছবিও এঁকে ফেলে হুবহু। এরই মধ্যে আম্মু ডাক দিলেন, খেতে এসো! অগত্যা পরিদল চলে যাবার জন্য তৈরি হলো। যাবার সময় বলে গেল, আজ থেকে যদি প্রতিদিন তুমি এমন করে হোমওয়ার্ক নিয়ে নিয়মিত খেলাধুলা করো তাহলে আগামী মাসে আমরা আবার আসব। সাফওয়ান রাজি হলো।
এরপর থেকে সাফওয়ানের শিক্ষকেরা রীতিমতো অবাক। যে সাফওয়ানের কাছ থেকে কখনো তারা হোমওয়ার্ক ঠিকমতো বুঝে পেতেন না, সেই সাফওয়ান সবার আগে হোমওয়ার্ক বুঝিয়ে দেয়। যে সাফওয়ানের রেজাল্ট কখনো ভালো হতো না, সেই সাফওয়ান পরীক্ষায় রীতিমতো প্রথম হওয়া শুরু করে।
সাফওয়ানের বাবা-মাও কম অবাক হননি। সাফওয়ান এত মজা করে হোমওয়ার্ক শেষ করে যে তারা দুজন সাফওয়ানের পাশে বসে তার হোমওয়ার্ক খেলা দেখতে থাকেন। আর সাফওয়ানও খুব মজা করে হোমওয়ার্ক করতে থাকে। মাঝে মাঝে ডিনারের সময় হয়ে গেলে মা যখন খেতে ডাকেন তখন সাফওয়ান বিরক্ত হয়ে বলে ওঠে, ‘উফ! সময় কেন যে এত দ্রুত শেষ হয়ে যায়!’
আর হ্যাঁ, সেই পরিদল কিন্তু তাদের কথা আর রাখেনি। তারা আর কখনো সাফওয়ানের সাথে খেলতে আসেনি। মাঝে মাঝে সাফওয়ান ভাবতে থাকে সেদিন কী সত্যি সত্যি পরিরা এসেছিল, নাকি ওটা ছিল তার কল্পনা!
Report incorrect information