কোনমতেই বোঝার উপায় নেই এই পোড়া কয়লার বীভৎস পিণ্ডটির ভেতর একটি হাড়ের কাঠামো আছে। নারী কঙ্কাল! পত্রিকার শিরোনাম স্পষ্ট ভাষায়। বীভৎস ছবিটির অন্তর্যোজনায় একটি মুখ। এক খণ্ড ভোর। ভোরই হবে। কারণ নরকের অগ্নিউৎসবে ইন্ধন হয়েছিল যে মানবী-তার নাম ঊষা। ঊষাকে মনে হচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার। মাটির গভীরতম অন্ধকার খুঁড়ে বের করে আনা সহস্র অযুত বছরের পুরোনো বৃক্ষ ফসিল!
ঊষা এখনো পড়ে আছে একটি অসমাপ্ত বহুতল ভবনের ইট বালু বিছানো কুঠরিতে। ঊষার স্বজনেরা খবর পেয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনী প্রথা শেষ হলে তারা মেয়েটির ভস্মাবশেষের অধিকার পাবে। তারা ওকে যত্ন করে পরম মমতায় মাটির গভীরতম অন্ধকার খুঁড়ে পুঁতে দেবে। ঊষা মাটির গভীরে বীজ হবে। ঊষার অগ্নিদগ্ধ দেহ পরিণত হবে জৈব সারে। ঊষা মৃত্তিকায় মিশে যাবে। বিবর্তিত হবে। ঈশ্বর এই মত্তিকা থেকে নির্মাণ করবেন মানবী। জন্মাবেন বক্ষ।