বেণী ঘোষাল মুখুয্যেদের অন্দরের প্রাঙ্গণে পা দিয়াই সম্মুখে এক পৌঢ়া রমণীকে পাইয়া প্রশ্ন করিল, এই যে মাসি, রমা কৈ গা?
মাসি আহ্নিক করিতেছিলেন, ইঙ্গিতে রান্নাঘর দেখাইয়া দিলেন। বেণা উঠিয়া আসিয়া রন্ধনশালার চৌকাঠের বাহিরে দাঁড়াইয়া বলিলেন, তা হ'লে রমা কি করবে স্থির করলে?
জ্বলন্ত উনান হইতে শব্দায়মান কড়াটা নামাইয়া রাখিয়া রমা মুখ তুলিয়া চাহিল, কিসের বড়দা?
বেণী কহিল, তারিণী খুড়োর শ্রাদ্ধের কথাটা বোন! রমেশ ত কাল এসে হাজির হয়েছে। বাপের শ্রাদ্ধ ঘটা করেই করবে বলে বোধ হচ্ছে-যাবে না কি?
রমা দুই চক্ষ বিস্ময়ে বিস্ফোরিত করিয়া বলিল, আমি যাব তারিণী ঘোষালের বাড়ি?
বেণী ঈষৎ লজ্জিত হইয়া কহিল, সে ত জানি দিদি! আর যেই হোক, তোরা কিছুতেই সেখানে যাবি নে। তবে শুনচি নাকি ছোঁড়া সমস্ত বাড়ি-বাড়ি নিজে গিয়ে বলবে-বজ্জাতি বৃদ্ধিতে সে তার বাপেরও ওপরে যায়-যদি আসে, তা হ'লে কি বলবে?
রমা সরোষে জবাব দিল, আমি কিছুই বলব না-বাইরের দারোয়ান তার উত্তর দেবে।