ঘুম থেকে উঠেই নওশের আলীর মনে হলো এই বেকার জীবন আর তার জন্য সহনীয় নয়। পকেটে যা পয়সা ছিল চাকরির অনুসন্ধানে ঢাকা শহরে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়িয়ে এখন প্রায় শূন্যতায় পৌঁছেছে। পকেটে আছে কেবল গাড়ি ভাড়ার টাকাটা। বাড়ি ফিরতে হলে এটুকুই সম্বল। সবাই আশ্বাস দেয় তার লেখা পত্র ছাপে- কিন্তু কোনো কাজ দেয় না।
নওশের ভাবল এবার ঢাকা শহর ছাড়তে হবে। অথচ গ্রামে ফিরে গিয়ে তার কিছু করার পরিকল্পনাও সে ঠিক করতে পারছে না। শুধু মন বলছে- আর ঢাকা শহর নয়, এবার কপালে যা-ই থাকে নিজের সেই মফস্বল শহরটিতেই ফিরে যাবে। শহরটির নাম কুমিল্লা। আদিকালে সম্ভবত এই শহরটির নাম ছিল কমলাঙ্ক। এই শহরের রেল স্টেশনের পেছনে তার বাড়ি। লোকে বলে ভূঁইয়া বাড়ি। হাড়-হাভাতে কিছু পরিবার এখানে জট বেঁধে আছে। নওশের আলী এখানকার এই জট বাঁধা পরিবারের মধ্যেই জন্মেছে।