"দুর্দান্ত দশ" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বেতলা রিজার্ভ ফরেস্ট। ট্যুরিস্টদের কাছে এক অদম্য আকর্ষণ। তারা এই ফরেস্টে রাতের অন্ধকারে জীপে চেপে ঘােরে, আর সার্চলাইটের আলােয় হঠাৎ হঠাৎ তাদের চোখের সামনে চলে আসে হরিণ, বুনাে শুয়াের, বাইসন বা হাতির দল। কিন্তু সেদিন কী এমন সাংঘাতিক ঘটনা ঘটে গেল, যার জন্য থরথর করে কেঁপে উঠল বেতলা ফরেস্টের প্রশাসন বিভাগ, তছনছ হয়ে গেল ফরেস্টের সাময়িক শান্তি-শৃঙ্খলা ? মেজর মনজিৎ কাপুর কি খুঁজে বার করতে পারবেন এ ঘটনার ভেতরের রহস্য? অথবা সেই সুবিশাল পরেশনাথ পাহাড় যেখানে হাজার হাজার বছর ধরে একের পর এক জৈন তীর্থঙ্কর তপস্যার মাধ্যমে সিদ্ধি লাভ করেছেন। সেই পাহাড়ের শীর্ষে পার্শ্বনাথের মন্দির থেকে চুরি হয়ে যাওয়া এক দুর্লভ পুঁথি কি উদ্ধার করতে পারবেন মেজর? রহস্য গভীর। রাজপুত্র শঙ্খবৰ্মার পাওয়া সেই পুতুল কোন মন্ত্রের জোরে জ্যান্ত আর ভয়ংকর হয়ে ওঠে? নবদ্বীপের পণ্ডিত রঘুনাথ শিরােমণি বুকের মধ্যে কোন্ প্রতিজ্ঞা লুকিয়ে রেখে যাত্রা করেন বিপদসঙ্কুল পথ পেরিয়ে সুদূর মিথিলার দিকে? কীভাবেই বা অনুসন্ধানী সুতীর্থ সান্যালের প্রায় চোখের সামনেই খুন হয়ে যান বিখ্যাত ব্যবসায়ী মিঃ মেহতা? না এখানেই রহস্যের শেষ নয়। হঠাৎ খবর পাওয়া যায়, কানাডার সাস্কাচুন শহরের আকাশে ভেসে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বাড়িগুলাে। এক গভীর ষড়যন্ত্রে ভেঙে পড়ে যাচ্ছে একের পর এক। আর তার জন্যে ডাক পড়ে কল্পযুগের গােয়েন্দা গ্ল্যাস স্টুয়ার্টের। সে তার উভচর যান নিয়ে ছুটে যায় ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কানাডায়। কিন্তু তার শকুনির চোখ কি পারবে সেই কুচক্রীকে খুঁজে বের করতে? ..