আঁধার আর আলোর মাঝামাঝি প্রভাত। রবি-শশি আঁধার ঠেলে বেরিয়ে
আসতে চাইছে। নিজেকে উদ্ভাসিত করতে চাইছে পরোপকারে আলো
বিলিয়ে। মিনিটের কাঁটাটা ঘণ্টার কাঁটার চেয়ে সামান্য পিছিয়ে। হাতঘড়িতে
এখনো ছয়টা বাজতে কয়েক মিনিট বাকি। ট্রেন থেকে নেমে স্টেশন থেকে
বেরিয়ে সদর রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম। মফস্বল শহর, এত ভোরে লোকজনের
তেমন বিশেষ আনাগোনা নেই। কালেভদ্রে দু-একটা গাড়ি আসা-যাওয়া
করছে। নির্জন রাস্তার আলো-আঁধারির সময় ভেদ করে একটা সশরীরী
আত্মা এগিয়ে আসছে আমার দিকে। সামনে এসে দাঁড়াল একটা নারীমূর্তি।
আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই হুড়মুড় করে বৃক্ষের ন্যায় ভেঙে রাস্তার ওপর
লুটিয়ে পড়ল। গতরের বসন স্থানে স্থানে- ছেঁড়া, গতর ক্ষত-বিক্ষত হওয়ার
চিহ্ন স্পষ্ট। চিহ্ন হতে তাজা রক্ত ঝরছে। নারীটি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছে
আমার সামনে, কি করা উচিত বুঝে উঠতে পারছি না। একজন মুমূর্ষু
মানুষকে প্রথমে আরোগ্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য হাসপাতাল নেওয়া উচিত
শুধু এতটুকুই বুঝি। সদর হাসপাতালটা স্টেশন হতে বেশি দূরে নয়,