বই এর প্রথম ফ্লাপ
ওমেরো আরিহিস-এর পূর্বপুরুষ গ্রিক, দেশান্তরী গ্রিক। তাই নামের ভিতর হোমারেরই নামের প্রতিধ্বনি। ‘নীল জমিগুলো’ বেরিয়েছিল ১৯৬৯-এ, পড়েই অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ওক্তাভিয়ো পাস্। তাঁর মনে হয়েছিল এ-যে লাতিন আমেরিকার কবিতায় অন্যরকম সুর, অন্যরকম স্বর। অনেক বিখ্যাত লাতিন-আমেরিকার কবি- সাহিত্যিকের মতো তিনিও কাজ করেন কূটনৈতিক দফতরে, এই সেদিন অবধিও ছিলেন নেদারল্যান্ডস-এ মেহিকোর রাষ্ট্রদূত। ভোপালে ১৯৮৯-তে বিশ্বকবিতা সম্মেলনে যোগ দিয়ে কবিতা পড়েছিলেন, আর তখন খানিকটা বোঝাও গিয়েছিল কেন ওক্তাভিয়ো পাস্ তাঁর এমন ভক্ত । বাস্তবতাকে দেখবার জন্য সজাগ সদা-উৎসুক দৃষ্টি, বস্তু-পৃথিবীর শারীরিক জগতের ডাকে তৎক্ষণাৎ সাড়া দেওয়া, আর একই সঙ্গে সমস্ত কিছুকে ইন্দ্রিয়ময়তার মধ্যে নিয়ে আসা—এ সবই আরিস্হিসের কবিতার বৈশিষ্ট্য। তাঁর কবিতায় রয়েছে ধ্রুপদি রীতির
সূক্ষ্মশুদ্ধতা আর অদ্ভুত এক আলোকবিচ্ছুরণ।