Category:#6 Best Seller inঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব
"আকবর দ্য গ্রেট" বইটির ফ্ল্যাপের লেখা: আকবর মহান তাঁর মহানত্বের অনেকগুলাে দিক আছে। সেগুলাে কোনাে সংকীর্ণ অথবা গোড়া ধর্মীয় দৃষ্টিতে দেখার বিষয় নয়। সেভাবে দেখতে গেলে তার অনেক কর্মকাণ্ডই অসার মনে হবে। আকবরের সবচেয়ে বড় কৃতিতু ছিল রাজ্য বিজয়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে সুচারুভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা স্থাপন করা। এগুলাে করার জন্য ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ভাবনার প্রয়ােজন ছিল। এই রাষ্ট্র ভাবনার মূলে ছিল সে যুগের রীতি অনুযায়ী শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন। ভারতে আকবর প্রথম ব্যক্তি যিনি অখণ্ড রাষ্ট্রভাবনা থেকেই সেটা করেছিলেন। তিনি “জিজিয়া’অমুসলিমদের থেকে আদায়কৃত ‘যুদ্ধকর’ এ জন্যই তুলে দিয়েছিলেন, যেহেতু হিন্দুরা দেশরক্ষার্থে সেনা বাহিনীতে অংশ নিচ্ছে, সেহেতু এই কর নেওয়ার আর যৌক্তিকতা নেই। এই জায়গাটিতে উভয় সম্প্রদায়ের কিছু ঐতিহাসিকের মধ্যে এক ধরনের কপটতা লক্ষ করা গেছে, প্রতিক্রিয়াশীল হিন্দু ঐতিহাসিকেরা আকবরের মাথা-মুণ্ডুহীন প্রশংসা করেছেন এবং সেই সুযােগে ইসলাম ও মুসলিম শাসকদের হিংস্র সমালােচনা করেছেন। মুসলিম ঐতিহাসিকরা এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ইসলামে “জিজিয়া কর নিয়ে সুসংহত নীতি এবং বিধান আছে। সে সব জেনে, না বুঝে উগ্র এবং হিংস্র সমালােচনা কূপমুণ্ডকতারই নামান্তর। তবে, ইসলাম সম্পর্কে একটি কথা সুস্পষ্টরূপে জেনে রাখা ভালাে যে, ইসলামের কোনাে বিধি-বিধান মানুষকে কষ্ট দেওয়ার নিমিত্ত নয়। আকবর অন্য মােগল সম্রাটদের ন্যায় পদ্ধতিগত শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত ও বিদ্বান ছিলেন না। কিন্তু প্রতিভা ও বংশগত সূত্রে প্রাপ্ত রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাঁকে সম্রাট হিসেবে অনেক উচ্চতায় তুলে দিয়েছিল।
Report incorrect information