বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া
মীরাদেবীর পরনে ত্রিপুরার রিগনাই-রিসা আদলের পোশাক, সবুজাভ। খোঁপা, বাজুবন্দ আর কড়িতে সাদা ফুলের গহনা, খোঁপার নীচে ছড়ানো চুলে গাঢ় সবুজ পাতার মালা। তার একহারা গড়নের দেহশৈলীতে অনেক যত্নে বোনা সেই সাজে তিনদিক থেকে দেয়া হয়েছে শ্যামল নরম আলো। অপূর্ব দেহসৌষ্ঠ্যব, চাহনী আর সাজের সমাহার নিয়ে নরম আলোতে মেঘনৃত্যে মগ্ন মীরাদেবীকে মৃন্ময়ী কোনো অপ্সরীর মতো লাগছে। মনে হচ্ছে এই রূপবতী উর্বীর কেউ না, অথচ ধরণীর সব রূপ সে তার অঙ্গে ধারণ করেছে।
অনসূয়া ও প্রিয়ংবদাকে নিয়ে বর্ষার সিক্ত চাঞ্চল্যে অরণ্যের ছায়াবীথিতে নাচছে শকুন্তলা। নবধারা জলের আনন্দে মন-ময়ূরের নৃত্য সৌষ্ঠ্যব ফুটছে তাদের মুদ্রায়, চাহনীতে, ভঙ্গিমায় আর আবেশ-সৃষ্টির মগ্ন ভাবে। এনাম নিজের নিঃশ্বাসও টের পাচ্ছে না। শরীরের কিছুই ও অনুভব করছে না ... সব অনুভূতিরা যেন মনের ভেতরে খেলা করছে। হয় তো খেলা করছে না, নাচছে। অনুভূতির সেই নৃত্যে কোনো প্রমাদ নেই। জীবনকে নিয়ে এনামের মনে জমাট এলোমেলো অস্থির ভাবনারা একটা ভারসাম্য খুঁজে পাচ্ছে। সময় থেমে গেছে। দৃষ্টি আর মনন এখন স্পষ্ট, শান্ত, সুস্থিত... ভূত-ভবিষ্যতের কোনো অনিশ্চিত ভয়ের সেখানে প্রবেশাধিকার নেই।