প্রথম ফ্ল্যাপের লেখা লেখকের দু’টি কথা ঃ
বর্ণনাত্মক শিল্পকর্মের রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ শব্দকে রোমান্টিক জীবন-দর্শন ও জীবনানুভূতি রস ঢেলে যে বিরহবিধুর সামাজিক উপন্যাসটি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছি, সেটি হলো ‘বৃদ্ধাশ্রম-এক মানুষের এক দুনিয়া’
‘বৃদ্ধাশ্রম—এক মানুষের এক দুনিয়া' উপন্যাসটিতে ভালোবাসার তত্ত্ব কথা বা জগৎ ও জীবন সম্বন্ধে তাঁহার ধ্যান-ধারণা অথবা সামাজিক বন্ধনের প্রতিবন্ধকতার সূরহা দিতে চেয়েছি । কেননা, একমাত্র ভালোবাসাই ব্যক্তির জীবনকে পূর্ণ সমগ্রতা দান করতে পারে । কিন্তু এই ভালোবাসা বড়ই দুষ্প্রাপ্য কঠিণ বর্ণাট্য, যার শাখা-প্রশাখা একটা কার্যকারণ সূত্রে কঠিণ বেড়াজালে আবদ্ধ । আমি এই বেড়াজালকে ছিন্ন করে ভালোবাসার অচ্ছেদত্য সংঘাতকে জীবন্ত জীবনে এনে নিরাময় শান্তির পথ উন্মুক্ত করার চেষ্টা করেছি।
‘বৃদ্ধাশ্রম-এক মানুষের এক দুনিয়া' উপন্যাসটি আমার দীর্ঘ দিনের জমানো স্বপ্নের ফসল। আমার আশা, ভালোবাসা, পূর্ণতা, এবং আমার মস্ত অনুভব, নিসর্গ চিত্র, উপমা চিন্তা সব মিলিয়েই পরিপূর্ণ বিশ্বাসে গড়া 'বৃদ্ধাশ্রম—এক মানুষের এক দুনিয়া’।
আমার বিশ্বাস 'বৃদ্ধাশ্রম- এক মানুষের এক দুনিয়া' উপন্যাসটি পড়ে পাঠক হৃদয় শিহরিত হবে-ই, হবে ।
মীর্জা আমীর