Category:সমকালীন উপন্যাস
"হৃদয়নদী" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
হৃদয়নদী’তে তিনি উপস্থাপন করলেন পারভীন আকতার নামের একজন পঞ্চাশাের্ধ্ব নারীর আন্তর আর বহির্জীবনকে। পারভীনকে ঘিরে আবর্তিত মধ্য ও উচ্চবিত্তের সহৃদয়তা আর হৃদয়হীনতা এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য। পারভীন আকতার একটি সরকারি কলেজের অধ্যাপক। স্বামী-পুত্র-কন্যা নিয়ে তার দৃশ্যত সুখের সংসার। কিন্তু তারপরও এক দুর্মর অতৃপ্তি পারভীনকে কুরে কুরে খায়। নিশীথে অক্ষম স্বামী ফরহাদের পাশে শুয়ে অন্যজনকে লালন করে মনে মনে। স্বামীর পাশে প্রেমিক নিখিলেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেহসুখ বঞ্চিত পারভীন নিখিলেশের সঙ্গে জীবনের সুখ-দুঃখকে ভাগ করে নিতে চায়। কন্যা হেমলতা বিয়ে করে এক মাদকাসক্তকে, প্রেমের বিয়ে। হেমলতা নির্যাতিত হয় শ্বশুরবাড়িতে। অন্তঃসত্ত্বা হেমলতার বাপের বাড়িতে ফিরে আসার উপায় থাকে না। গভীর বেদনা পারভীনের ভেতরবাহির ছিড়েখুঁড়ে খেতে থাকে। অনেকের মধ্যে থেকেও পারভীন নিজেকে বড় নিঃসঙ্গ বােধ করে। এই একাকিত্ব পারভীনের জীবনকে বিষিয়ে তােলে। এখন কী করবে পারভীন? জীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবে, না জীবনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবে? ‘হৃদয়নদী’ পাঠককে রুক্ষ-রূঢ় মধ্যবিত্ত । জীবনের মুখােমুখি দাঁড় করাবে।
Report incorrect information