অভিমন্যুকে দেখে পিনাকপাণি মনে মনে হাসছিল। ওর বলতে ইচ্ছে করছিল, তোমার বাপ-মা তো গোড়াতেই গলদ করে রেখেছে। কোনও মা-বাপ তার ছেলের নাম অভিমন্যু রাখতে পারে? বেচারা অভিমন্যু! চক্রব্যূহে ঢুকবে, প্রচুর লড়বে, লড়তে লড়তে বীর হয়ে উঠবে। বীর বিক্রম দেখাবে, প্রচুর হাততালি খাবে, কিন্তু শেষপর্যন্ত মরবে। তাহলে ফাইনাল রেজাল্ট কী হল-ডিফিট! ডিফিট শব্দটা পিনাকপাণির ডিকশনারিতে নেই। অভিমন্যু বসেছিল পিনাকপাণির সামনে। কেপাণির স পিঠ বেঁকিয়ে। চেয়ারের ভেতর প্রায় ঢুকে। অভিমন্যু মাসখানেক ধরে ঘুরছে। ঘুরছে মানে পিনাকপাণির উলটো দিকে এসে বসার জন্যই ঘুরছে। এই মাস তিনেকের প্রথম দিকে অন্তত বারো বার পিনাকপাণির অফিসের রিসেপশন থেকে জানানো হয়েছে, একজন দেখা করতে চায়। তার নাম অভিমন্যু গঙ্গোপাধ্যায়। বারেবারেই পিনাকপাণি 'ব্যস্ত আছি' বলে দিয়েছে। তবে তেরোবারের মাথায় বলেছে, কী দরকার স্লিপ পাঠাতে বলুন।