Category:চিরায়ত উপন্যাস
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
মানিক বন্দ্যোপধ্যায়ের সবচেয়ে জনপ্রিয়, বহুল আলোচিত এবং বহুভাষায় অনূদিত উপন্যাস 'পদ্মানদীর মাঝি'। প্রলয়ংকরী পদ্মানদীর তীরবর্তী সংগ্রামী মাঝি ও জেলে সম্প্রদায়ের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, হিংসা-বিদ্বেষ, ঝগড়া-বিবাদ, প্রেম-প্রীতি, অভাব- অভিযোগের বিশ্বস্ত জীবনালেখ্য এ উপন্যাস। এ উপন্যাসে পদ্মা, পদ্মাতীরের মাঝি ও জেলেদের জীবনের করুণ কাহিনি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। পদ্মানদী একটি প্রচণ্ড সত্তার মতো এই উপন্যাসের সমস্ত নরনারীর জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
তার বুকের ঐশ্বর্য রূপালি ইলিশের ফসল তুলে পদ্মানদীর মাঝি যেমন সাময়িক সচ্ছলতার মুখ দেখে- তেমনি তার প্রবল স্রোতের তাড়নায় ঘরবাড়ি, গরুছাগল, মানুষ কুটোর মতো ভেসে যায়; মানুষের সংসারে প্রগাঢ় দুর্ভাগ্যের ছায়া পড়ে। পদ্মাকে বাদ দিয়ে পদ্মানদীর মাঝির জীবন পরিকল্পনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
পদ্মাতীরবর্তী ধীবর-অধ্যুষিত গ্রাম কেতুপুর। এ গ্রামে হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি বসবাস করে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষের পেশা মাছ ধরা নয়তো মাঝিগিরি করা। তাই এদের প্রধান সাদৃশ্য হচ্ছে দারিদ্র্য। এখানকার সমর্থ পুরুষদের রাত কাটে নৌকায়- পদ্মার বুকে জাল ফেলে ইলিশের সন্ধানে, অথবা গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে যাত্রী পারাপার করে। ফলে ধীবর মেয়েদের স্বভাব-চরিত্র নিয়ে কানাকানি হয়। জেলে রমণীদের দুর্নাম রটে।
Report incorrect information