Category:অনুবাদ উপন্যাস
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
রোজ রোজই সেই এক-সেই ভোর না হতেই কারখানার বাঁশিটার কাঁপা-কাঁপা বিশ্রী চিৎকার..... কুলিবস্তির ধোঁয়াটে তেলচিটে আকাশটা আঁতকে ওঠে। পেশিগুলো চাঙা হয়ে ওঠার আগেই গুমোট ঝাপসা অন্ধকারে ঘুম ভেঙে ধড়ফড় করে উঠে খুপরিগুলো থেকে অন্ধকার মুখে মানুষগুলো বেরিয়ে আসে ভয়-খাওয়া আরশোলার মতো। কঙ্কনে ঠান্ডা; শেষ রাতের আঁধার তখনও লেগে থাকে ভোরের গায়ে।
এবড়োখেবড়ো রাস্তাটা দিয়ে চলে ওরা। কারখানার উঁচু-উঁচু পাথুরে খুপরিগুলো ওদেরই অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে নির্বিকার আত্মপ্রত্যয়ে। তাদের সারবাঁধা চৌকো চৌকো তৈলাক্ত চোখের আলো পড়ে এঁদো রাস্তাটার ওপর। মানুষগুলোর পায়ের তলায় কাদা ছপ্ করে। কর্কশ, মোটা, ঘুম-জড়ানো কণ্ঠের গালাগালি আর খিস্তির তোড়ে বাতাস বিদীর্ণ হয়। তাদের দিকে ভেসে আসে আর নানা শব্দ- কারখানার যন্ত্র-দানবের গর্জন আর বাষ্পের ভভসানি। কুলিবস্তির ওপরে মাথা উঁচিয়ে থাকে বিরস কালো চিমনিগুলো, মোটা-মোটা উঁচনো গদার মতো।
তারপর যখন সন্ধে হয়, পড়ন্ত সূর্যের ক্লান্ত ছায়া এলিয়ে পড়ে জানলায়-জানলায়, পোড়া-কয়লার ছাইয়ের মতো করে কারখানাটা তার পাথুরে ভুঁড়ি থেকে মানুষগুলোকে উগ্র ফ্যালে। আবার সেই নোংরা রাস্তা বেয়ে কালিঝুলি-মাখা কালো কঠোর মুখের মিছিল; ক্ষুধার্ত ঠোঁটের ফাঁকে দাঁতগুলো ঝিলিক দেয়। কলের তেল কালির গন্ধ বেরিয়ে চটে গা দিয়ে। কিন্তু এ-বেলা ওদের গলার স্বরে ফুর্তির, এমনকি আনন্দের সুর-আজকের মতো খাটনি সারা। এখন ঘরে ফিরে, রাতের খাবার খেয়ে শরীরটা এলিয়ে দেওয়া।
Report incorrect information