আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
Related Products
Product Specification & Summary
মেয়েটির নাম কুসুম। বয়স সতেরো কিন্তু এখনও তার শরীরের কোথাও সাবালিকার ছাপ পড়েনি। এমনকি বেড়ে উঠা বারো বছরের বালিকার মতও না। তবে মনে-প্রাণে সে বেড়ে উঠেছে কিনা তা সময় মত কুসুম-ই আপনাদেরকে বলে দেবে। কুসুমের বাড়ি ত্রিশালের দরিরামপুর গ্রামে। বিধবা মা বছর পাঁচেক আগে নিজ বাবার বাড়ির এলাকায় পুনরায় বিয়ে করে সংসার শুরু করেছে। সেখানে কুসুমের মা'র একটা ছেলে জন্মেছে, বয়স চার বছর। কুসুমের নানার বাড়ি গফরগাঁও। গফরগাঁও রেলস্টেশনের অদূরেই কুসুমের নানার বাড়ি। বাড়ি বলতে তেমন কিছু না। রেললাইনের পাশে ছোট্ট একটা টিনের ঘর। কুসুমের নানা সম্ভবত রেলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ছিল। অবসর নেয়ার পূর্বেই রেল লাইনের পাশে ঘর তুলে বসতি শুরু করে এবং অবসর নেয়ার পরে ঘরের এক অংশে মুদিদোকান চালায়। কুসুম নানাবাড়ি যায় না। আগে খুব যেত। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে হওয়ার পরে এখন আর যায় না। নানার এলাকার লোকদেরকে সে ঘৃণা করে, কেন করে সে জানে না। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলে, ওই এলাকার লোকদেরকে ভালো লাগে না, তাই ঘৃণা করি। কুসুমের মা'র এই স্বামী অনেক বারই কুসুমকে নিতে এসেছিল, সে যায়নি।